বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর পর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা রেইসকোর্স এলাকার বাসা থেকে একটু দূরে যুবদল নেতা এসএম তৌহিদ সোহেলকে কুপিয়ে হত্যা করে একই এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে আহসান হাবিব মিঠু ও তার ভাই বিএনপি নেতা মোস্তফা জামান। ঘটনার পরে তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন নাহার বাদী হয়ে ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন নাহার লুনা বলেন, ‘আমার স্বামীকে হত্যার ঘটনায় আহসান হাবীব মিঠু ও তার ভাই মোস্তফা জামান জড়িত। এছাড়াও আসামি আহসান হাবীব মিঠু আদালতে সাক্ষী দিয়েছে যে তার সহযোগী হাসানও খুনের ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত। আদালত পলাতক আহসান হাবীব মিঠুকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও তার ভাই মোস্তফা জামান ও হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত হাসানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। এখন বেকসুর খালাস পাওয়া আসামির জন্য রেইসকোর্স এলাকায় থাকা সম্ভব হবে না। আমরা এ রায় মানি না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।’
তবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলী আক্কাস রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।